\v 2 আমরা প্রার্থনার সময় তোমাদের নাম উল্লেখ করে তোমাদের সকলের জন্য সর্বদা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করে থাকি;
\p
\v 3 আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কাজ, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর নির্ভরতার ধৈর্য্যে আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে সবসময় মনে করে থাকি;
\v 5 কেননা আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে শুধুমাত্র কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে, পবিত্র আত্মায় ও বেশিমাত্রায় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হয়েছিল; তোমরা তো জান, আমরা তোমাদের কাছে, তোমাদের জন্য কি রকম লোক হয়েছিলাম।
\v 8 কেননা তোমাদের হতে প্রভুর বাক্য উচ্চারিত হয়েছে, কেবল মাকিদনিয়াতে ও আখায়াতে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের উপর তোমাদের যে বিশ্বাস, সেই বিষয় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে; এজন্য আমাদের কিছু বলবার দরকার নেই।
\p
\v 9 কারণ তারা নিজেরা আমাদের বিষয়ে এই কথা প্রচার করে থাকে যে, তোমাদের কাছে আমরা কিভাবে হাজির হয়েছিলাম, আর তোমরা কিভাবে প্রতিমাগণ হতে ঈশ্বরের দিকে ফিরে এসেছ, যেন জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা করতে পার,
\p
\v 10 এবং যাঁকে তিনি মৃতদের মধ্য থাকে উঠিয়েছেন, যিনি আগামী ক্রোধ থেকে আমাদের উদ্ধারকর্তা, যেন স্বর্গ হতে তাঁর সেই পুত্রের অর্থাৎ যীশুর অপেক্ষা করতে পার।
\s5
\c 2
\p
\v 1 স্বভাবত, ভাইয়েরা, তোমরা নিজেরাই জান, তোমাদের কাছে আমাদের যাওয়াটা ব্যর্থ হয়নি।
\p
\v 2 সেই জন্য ফিলিপীতে আগে দুঃখভোগ ও অপমান সহ্য করেছি, তোমরা জান, আমরা আমাদের ঈশ্বরে সাহসী হয়ে অত্যাধিক মানুষের বিরোধ সত্বেও আমরা তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচারের কথা প্রচার করেছিলাম।
\v 3 কারণ আমাদের উপদেশ কোন ভ্রান্ত ধারণা, কি অশুচিতা বা প্রতারণা থেকে নয়।
\p
\v 4 কিন্তু ঈশ্বর যেমন আমাদের পরীক্ষাসিদ্ধ করে আমাদের উপরে সুসমাচারের ভার রেখেছেন, তেমনি কথা বলছি; মানুষকে সন্তুষ্ট করব বলে নয়, কিন্তু ঈশ্বর যিনি আমাদের অন্তঃকরণ পরীক্ষা করেন, তাঁকে সন্তুষ্ট করব বলেই বলছি।
\v 7 কিন্তু যেমন মায়েরা নিজের বাচ্চাদের লালন পালন করে, তেমনি তোমাদের মধ্যে স্নেহের ভাব দেখেছিলাম;
\p
\v 8 সেইভাবে আমরা তোমাদেরকে ভালোবেসে কেবল ঈশ্বরের সুসমাচার নয়, আপন আপন প্রাণও তোমাদেরকে দিতে সন্তুষ্ট ছিলাম, যেহেতু তোমরা আমাদের প্রিয়পাত্র হয়েছিলে।
\p
\v 9 হে ভাইয়েরা আমাদের পরিশ্রম ও কঠোর চেষ্টা তোমাদের মনে আছে; তোমাদের কারও বোঝা না হই, সেই জন্য আমরা দিনরাত কাজ করতে করতে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করেছিলাম।
\v 13 এই কারণে আমরাও সবসময় ঈশ্বরের ধন্যবাদ করছি। আমাদের কাছে ঈশ্বরের পাঠানো বাক্য পেয়ে, তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলে তা গ্রহণ করেছিলে; তা সত্যই ঈশ্বরের বাক্য, এবং তোমরা বিশ্বাসী তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য্য সম্পন্ন করছো।
\v 14 কারণ, হে ভাইয়েরা, যিহুদিয়ায় খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের যে সকল মন্ডলী আছে, তোমরা তাদের অনুসরণকারী হয়েছ; কেননা ওরা যিহুদিদের থেকে যে প্রকার দুঃখ পেয়েছে, তোমারও তোমাদের নিজ জাতির লোকদের কাছ থেকে সেই প্রকার দুঃখ পেয়েছ;
\p
\v 15 যিহুদীরা প্রভু যীশুকে এবং ভাববাদীদের বধ করেছিল, আবার আমাদেরকে তাড়না করেছিল; তারা ঈশ্বরের সন্তুষ্ট কর নয়, সকল মানুষের বিপরীত;
\p
\v 16 তারা আমাদেরকে অন্য জাতির পরিত্রাণের জন্য তাদের কাছে কথা বলতে বারণ করছে; এইরূপে সবসময় নিজেদের পাপের পরিমাণ পূর্ণ করছে; কিন্তু তাদের নিকটে চূড়ান্ত ক্রোধ উপস্থিত হল।
\v 17 আর, হে ভাইয়েরা, আমরা অল্পসময়ের জন্য হৃদয়ে, কেবল নিজ চোখে দেখে তোমাদের থেকে দুরে চলে গেলে পর মহা আকাঙ্খার সঙ্গে তোমাদের মুখ দেখবার জন্য আরও বেশি যত্ন করে ছিলাম।
\p
\v 18 কারণ আমরা, বিশেষত আমি পৌল, দুই একবার তোমাদের কাছে যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু শয়তান আমাদের বাধা দিল।
\p
\v 19 কেননা আমাদের আশা, বা আনন্দ, বা শ্লাঘার মুকুট কি? আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাতে তাঁর আগমন কালে তোমরাই কি নও?
\p
\v 20 বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দ ভূমি।
\s5
\c 3
\p
\v 1 এজন্য আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে আমরা আথীনীতে একা থাকাই ভাল বুঝলাম,
\p
\v 2 এবং আমাদের ভাই ও খ্রীষ্টের সুসমাচারে ঈশ্বরের পরিচারক যে তীমথিয়, তাঁকে পাঠিয়েছিলাম, যেন তিনি তোমাদেরকে সুস্থীর করেন, এবং তোমাদের বিশ্বাসের সম্বন্ধে আশ্বাস দেন,
\p
\v 3 যেন এই সব কষ্টে কেউ চঞ্চল না হয়; কারণ তোমরা নিজেরাই জান, আমরা এরই জন্য নিযুক্ত।
\v 4 এটাই সত্য আমরা যখন তোমাদের কাছে ছিলাম, আমরা তোমাদের আগেই বলেছিলাম যে, আমাদের কষ্ট হবে, আর সেটাই ঘটেছে, তোমরা সেটা জান।
\p
\v 5 এ জন্য আমিও আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে তোমাদের বিশ্বাসের তত্ত্ব জানবার জন্য ওকে পাঠিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম, পাছে পরীক্ষক কোনও প্রকারে তোমাদের পরীক্ষা করেছে বলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা হয়।
\v 6 কিন্তু এখন তীমথিয় তোমাদের কাছ হতে আমাদের কাছে এসে তোমাদের বিশ্বাস ও প্রেমের শুভ সংবাদ আমাদেরকে দিয়েছেন, এবং বলেছেন, তোমরা সর্বদা স্নেহ ভাবে আমাদেরকে মনে করছ, যেমন আমরাও তোমাদেরকে দেখতে চাই, তেমনি তোমরাও আমাদেরকে দেখতে ইচ্ছা করছ;
\p
\v 7 এজন্য, ভাইয়েরা, তোমাদের জন্য আমরা সমস্ত বিপদের ও কষ্টের মধ্যে তোমাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে সান্ত্বনা পেলাম;
\v 11 আর আমাদের ঈশ্বর ও পিতা আপনিও আমাদের প্রভু যীশু তোমাদের কাছে আমাদের পথ সুগম করুন।
\p
\v 12 আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচে পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদেরকে পরস্পরের ও সবার প্রতি প্রেমে বৃদ্ধি করুন ও উপচে পড়তে দিন;
\p
\v 13 এইভাবে নিজের সকল পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমনকালে যেন তিনি আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে তোমাদের হৃদয় পবিত্রতায় অনিন্দনীয়রূপে সুস্থির করেন।
\s5
\c 4
\s ধর্ম্মাচরণ করতে উত্সাহিত করা।
\p
\v 1 অতএব, হে ভাইয়েরা, সবশেষে আমরা প্রভু যীশুতে তোমাদেরকে উৎসাহিত করছি, চেতনা দিয়ে বলছি, কীভাবে চলে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে হয়, এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে শিক্ষা গ্রহণ করেছ, আর যেভাবে চলছ, সেইভাবে অধিক উপচিয়ে পড়।
\p
\v 2 কেননা প্রভু যীশুর দ্বারা আমরা তোমাদেরকে কি কি আদেশ দিয়েছি, তা তোমরা জান।
\v 9 আর ভ্রাতৃপ্রেম সম্পর্কে তোমাদেরকে কিছু লেখা প্রয়োজন নেই, কারণ তোমরা নিজেরা পরস্পর প্রেম করার জন্য ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পেয়েছ;
\p
\v 10 আর বাস্তবিক সমস্ত মাকিদনিয়ায় বসবাসকারী সমস্ত ভাইদের প্রতি তা করছ।
\p
\v 11 কিন্তু তোমাদেরকে অনুরোধ করে বলছি, ভাইয়েরা, আরও বেশি উপচিয়ে পড়, আর শান্ত ভাবে থাকতে ও নিজদের কার্য্য করতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে যত্নশীল হও যেমন আমরা তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছি-
\p
\v 12 যেন বাইরের লোকদের উপর তোমরা শিষ্টাচারী হও এবং তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
\v 13 কিন্তু, হে ভাইগণ আমরা চাই না যে, যারা নিদ্রিত হয়েছে, তাদের সমন্ধে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাদের প্রত্যাশা নেই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখিত না হও।
\p
\v 14 কারণ আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরেছেন এবং জীবিত হয়েছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশুতে নিদ্রিত লোকদেরকেও সেইভাবে তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
\p
\v 15 কারণ আমরা প্রভুর বাক্য দিয়ে তোমাদেরকে এও বলেছি যে, আমরা যারা বেঁচে আছি, যারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবো, আমরা কোনও ক্রমে সেই নিদ্রিত লোকদের অগ্রগামী হব না।
\v 16 কারণ প্রভু নিজে আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন, আর যাঁরা খ্রীষ্টে মরেছেন, তাঁরা প্রথমে উঠবে।
\p
\v 17 পরে আমরা যারা বেঁচে আছি, যারা অবশিষ্ট থাকব, আমরা আকাশে প্রভুর সঙ্গে দেখা করবার জন্য একসঙ্গে তাঁদের সঙ্গে মেঘযোগে নীত হইব; আর এভাবে সবসময় প্রভুর সঙ্গে থাকব।
\p
\v 18 অতএব তোমরা এই সকল কথা বলে এক জন অন্য জনকে সান্ত্বনা দাও।
\s5
\c 5
\p
\v 1 কিন্তু ভাইয়েরা বিশেষ বিশেষ কালের ও সময়ের বিষয়ে তোমাদেরকে কিছু লেখা অপ্রয়োজনীয়।
\p
\v 2 কারণ তোমরা নিজেরা বিলক্ষণ জানো, রাতে যেমন চোর আসে তেমনি প্রভুর দিনও আসছে।
\p
\v 3 লোকে যখন বলে, শান্তি ও অভয়, তক্ষুনি তাদের কাছে যেমন গর্ভবতীর প্রসব বেদনা উপস্থিত হয়ে থাকে, তেমনই আকষ্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়; আর তারা কোনোও ভাবে এড়াতে পারবে না।
\v 12 কিন্তু, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে নিবেদন করছি; যাঁরা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদেরকে চেতনা দেন, তাঁদেরকে চিনে নাও,
\p
\v 13 আর তাঁদের কাজের জন্য তাঁদেরকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।
\p
\v 14 নিজেদের মধ্যে একতা রাখো। আর, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদেরকে বিনয় করছি যারা নিয়ম না মেনে চলে, তাদেরকে চেতনা দাও, অল্পসাহসিদের স্বান্তনা দাও, দূর্বলদের সাহায্য কর, সবার জন্য ধৈর্য্যশীল হও।